ঘটিবাড়ির ‘পটল পোস্ত’ এককথায় অমৃত |
খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে ঘটি-বাঙালের দ্বন্দ্ব চিরকালীন। ঘটিবাড়ির কিছু রেসিপি যেমন বাঙালদের টেক্কা দেয়, অন্যদিকে বাঙালরাও তাদের আস্তিনে লুকিয়ে রেখেছে হরেক কিসিমের তাক লাগানো খানা-পিনা। তা ঘটি হোক বা বাঙাল, পটল সব বাড়িতেই চলে। নিরামিষ রান্নার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সবজি এই পটল দিয়েই তৈরি হতে পারে দুর্ধর্ষ সব রান্না। পটলের দোলমা থেকে শুরু করে তেল পটল, কুমড়ো-পটলের ছক্কা মায় আলু-পটলের তরকারি। কিন্তু ঘটিবাড়ির প্রাণভোমরা পোস্ত দিয়ে পটলের রেসিপি যেন একেবারে অমৃত যাকে চলতি কথায় বলে ‘পটল পোস্ত’ (Potol Posto)। তা দোস্ত, চলুন জেনে নেওয়া যাক, সুস্বাদু পটল পোস্তের সম্পূর্ণ রেসিপি।
উপকরণ:
পটল, আলু, পোস্ত, কাঁচা লঙ্কা, নারকেল কোরা, সর্ষের তেল, ১টি শুকনো লঙ্কা, কালো জিরে, নুন ও চিনি পরিমাণ মত
কীভাবে রাঁধবেন:
• মোটামুটিভাবে আধ ঘন্টা মত সময় লাগবে এই রান্না করতে। প্রথমে ২ ঘন্টা মত পোস্তটা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মিক্সার গ্রাইন্ডারে বেটে নিতে হবে, একেবারে মিহি হয়ে গেলে তার মধ্যেই নারকেল কোরাটা দিয়ে আবার বেটে নিতে হবে।
• পটলের খোসা ছাড়িয়ে তার ধারগুলো কেটে নিতে হবে লম্বালম্বিভাবে।
• তারপর কড়াইতে সর্ষের তেল গরম হলে অল্প নুন দিয়ে পটলগুলো (Potol Posto) হালকা লালচে করে ভেজে নিতে হবে।
• তারপর পটলগুলো তুলে নিয়ে সেই তেলের মধ্যে দিয়ে দিন শুকনো লঙ্কা আর কালোজিরে। কিছুক্ষণ ফোড়নটা নাড়াচাড়া করে তার মধ্যে আলুগুলো দিয়ে দিন। অল্প আঁচে ভেজে নিন সব আলু।
আরও পড়ুন: রথযাত্রার স্পেশাল মেনু- চটজলদি বানিয়ে ফেলুন জগন্নাথদেবের ক্ষীরের মালপোয়া
পোস্তবাটার সঙ্গে নারকেল কোরাটা দিতে ভুলবেন না যেন! |
• হাল্কা ভাজা হয়ে এলে আলুর মধ্যে পোস্ত বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। বাকি নুনটা দিয়ে দিন। হাল্কা আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না পোস্তর ফ্লেভারটা বেরোয়।
• তারপর আগে থেকে ভেজে রাখা পটলগুলো দিয়ে দিন কড়াইতে। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে গরম জল ঢেলে দিন। এবার আঁচটা সামান্য বাড়িয়ে দিতে পারেন। নাড়তে নাড়তে দেখবেন পটলের উপর ধীরে ধীরে গ্রেভি জমছে।
• সবশেষে একটা কাঁচা লঙ্কা আর কাঁচা সর্ষের তেল উপর দিয়ে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
নিরামিষ পদ হলে কাঁচা মুগের ডাল কিংবা মুসুর ডালের সঙ্গে এই পটল পোস্ত (Potol Posto) একেবারে জমে যাবে নিশ্চিত।